for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২ জুন ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ২১:৪২:৩৫
গত বছরই চিলিতে বসেছিল কোপা আমেরিকার ৪৪তম আসর। আগে অনিয়মিতভাবে হলেও ২০০৭ সাল থেকে চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে প্রাচীন এই টুর্নামেন্টটি। সেই হিসেবে কোপার পরবর্তী আসরটি বসার কথা ২০১৯ সালে। ব্রাজিলে সেই আসরটি হবেও। কিন্তু তার আগেই হয়ে যাচ্ছে কোপার আরেকটি বিশেষ আসর। আগামী শনিবার বাংলাদেশের আকাশে ভোরের সূর্য উঠার আগেই যুক্তরাষ্ট্রে উঠবে কোপার শতবর্ষী আসরের পর্দা। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া।
১৮১৬ সালে আর্জেন্টিনায় বসেছিল কোপার প্রথম আসর। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশীয় এই টুর্ণামেন্ট এবার তাই পূর্ণ করছে একশ বছর। শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন করতেই আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ এই আসর। টর্ণামেন্টেও তাই থাকছে বিশেষত্ব। এই প্রথম কোপা আমেরিকার আসর বসছে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বাইরের কোনো দেশে। শুধু আয়োজকই নয়,বিশেষ এই আসরের বিশেষত্ব বজায় রাখতে অংশও নিচ্ছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রসহ দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বাইরের একাধিক দেশ। টর্নামেন্টের দলের সংখ্যাও ১২ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬টি।
বাংলাদেশী দর্শকদের কাছে কোপা আমেরিকা মানেই যেন ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। তা যতই বিশেষ টুর্ণামেন্ট হোক, এবারও বাংরাদেশী দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকতে এই দুটি দেশই। সেই হিসেবে বাংলাদেশে কোপার সত্যিকার উত্তেজনা টের পাওয়া যাবে ৪ জুন থেকে!সেদিনই যে প্রথম মাঠে নামবে ৮ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ইকুয়েডর। ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার যাত্রা শুরু তারও দুদিন পর। ৬ জুন লিওনেল মেসিদের প্রথম ম্যাচ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চিলির বিপক্ষে।
বাংলাদেশের দর্শকদের দৃষ্টি হয়তো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার দিকেই থাকবে। তবে কোপার ইতিহাস কিন্তু বলছে অন্য কথা। কোপার সর্বশেষ দুই আসরই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের উপহার দিয়েছে হতাশা। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম এই দুই পরাশক্তিকে হতাশ করে ২০১৫ সালে শিরোপা জিতেছে চিলি। ২০১১ সালে শিরোপা জিতে সুয়ারেজ-কাভানি-ফোরলানদের উরুগুয়ে গড়ে সর্বোচ্চ ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড।
মহাদেশীয় এই শ্রেষ্ঠত্বের আসরে ব্রাজিল সর্বশেষ শিরোপার হাসি হেসেছে ২০০৭ সালে। আর্জেন্টিনার অপেক্ষার পালাটা আরও বড়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ বার কোপার শিরোপা ঘরে তুললেও আর্জেন্টিনা তার সর্বশেষটি জিতেছে সেই ১৯৯৩ সালে!এরপর আরও তিন বার (২০০৪, ২০০৭ ও ২০১৫)ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। তিন বারই পুরতে হয়েছে তীরে এসে তরি ডোবার হতাশায়। দীর্ঘ দিনের শিরোপা বন্ধ্যাত্ব এবার ঘুচাতে পারবে আর্জেন্টিনা?
২০১৪ বিশ্বকাপের পর ২০১৫ কোপা আমেরিকাতেও ফাইনালে গিয়ে হার। মেসি-হিগুয়েইনরা এবার সেই আক্ষেপ ঘুচাতে মরিয়া থাকবে এটা বলাই যায়। কিন্তু মিশন শুরুর আগেই যে আর্জেন্টিনা শিবিরে শঙ্কার মেঘের উড়াউড়ি। শঙ্কাটা খোদ অধিনায়ক মেসিকে নিয়েই। হন্ডুরাসের বিপক্ষে গা-গরমের ম্যাচে পিঠের নিচের দিকের অংশে চোট পেয়েছেন পাঁচ বারের ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি। চিলির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিনি মাঠে নামতে পারবেন কিনা,সেটাই এখনো নিশ্চিত নয়। মেসি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন,আর্জেন্টাইনদের চাওয়া এখন এই একটাই। বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদেরও নয় কী!
For add
For add
For add
For add
for Add