for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৩ মে ২০১৬, শুক্রবার, ১৭:০১:৪৫
প্রত্যেক মৌসুমের শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচের আগে বিচিত্র এক প্রথার নিয়ম আছে স্প্যানিশ লিগে। সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন বা পয়েন্টতালিকার শীর্ষ দলগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে রেফারিকে কেনার অভিযোগ তোলে। কিন্তু এবার দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ‘মালেতিনেস’ নামক বিতর্ক ছাড়িয়ে গেছে বাকিসব। স্প্যানিশ মালেতিনেস শব্দের মানে হলো টাকা ভর্তি ব্রিফকেস। অভিযোগ উঠেছে বার্সা-রিয়াল দুই দলই প্রতিদ্বন্দ্বীর পথ রুদ্ধ করার জন্য অন্য দলের প্রতিপক্ষকে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থের প্রলোভন দেখাচ্ছে। আর এ অভিযোগে তোলপাড় স্প্যানিশ ফুটবল।
এটা অবশ্য নতুন নয়। স্প্যানিশ ফুটবলে প্রতি মৌসুমেই এভাবে উপহার দেওয়া নেওয়ার প্রথা আছে। মৌসুমের একেবারে শেষদিকে এসে শিরোপা দৌড়ে টিকে থাকা দলগুলো ‘প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিপক্ষকে উজ্জীবিত করা’র এই খেলায় লিপ্ত হয়। অর্থাৎ বৈধ উপায়ে প্রতিপক্ষের প্রতিপক্ষকে পুরস্কৃত করে প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়া। যেমন এ মৌসুমের কথাই ধরা যাক। লা লিগার শেষ রাউন্ডের ম্যাচ আগামী শনিবার। শিরোপা জেতার জন্য যাতে শুধু জিতলেই হবে না রিয়ালের, ধাক্কা খেতে হবে বার্সাকেও। এ অবস্থায় নিজেরা জেতা, বার্সার ড্র কিংবা হার প্রার্থনা ছাড়াও আরো একটি কাজ করতে পারে রিয়াল। তা হলো বার্সার প্রতিপক্ষ গ্রানাডাকে উজ্জীবিত করা(অবশ্যই বৈধ উপায়ে)।
উজ্জীবিত করার সবচেয়ে সহজ উপায় অর্থ পুরস্কার ঘোষণা। লা লিগায় এই অর্থ পুরস্কার বা ব্রিফকেস প্রথা চলে আসছে বহুদিন ধরেই। তবে ২০০৭ সালে লা লিগার শিরোপা নির্ধারনের শেষদিনে বার্সেলোনাকে রুখে দেওয়ার জন্য রিয়াল মাদ্রিদ পুরস্কার ঘোষনা করলে ব্যাপারটি সবার নজরে আসে। ১৯৯৪ সালে ভ্যালেন্সিয়াকে পুরস্কৃত করেছিল বার্সা, কারন দেপোর্তিভো লা করুনাকে ১-১ গোলে ঠেকিয়ে দিয়ে ভ্যালেন্সিয়াই শিরোপা তুলে দিয়েছিল বার্সার হাতে। এর আগের দুই মৌসুমে রিয়াল ছিল দুর্ভাগা। শিরোপা হারিয়েছিল বার্সার কাছে, যার পেছনে ছিল মালেতিনেস দিয়ে বশীভূত করা টেনেরিফের অবদান। টেনেরিফের মাঠে গিয়ে দুবারই হেরেছিল রিয়াল।
দেখা যাক, এবার বৈধ এ মালেতিনেস প্রথা রিয়ালের শিরোপা জয়ে অবদান রাখে কিনা!
For add
For add
For add
For add
for Add