for Add
রা’আদ রহমান : ৯ মে ২০১৬, সোমবার, ২১:০২:২১
ক্লাব কাপ হকিতে আবাহনী শেষবার আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৮ সালে। তার পর দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষা। অবশেষে সে অপেক্ষার পালা ফুরোলো। আজ (সোমবার) টুর্নামেন্টের ফাইনালে ঊষা ক্রীড়াচক্রকে ৫-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মত ক্লাব কাপ হকির শিরোপা জিতলো আকাশী-হলুদ শিবির। হ্যাটট্রিক শিরোপাজয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো ঊষা ক্রীড়াচক্রের।
এ পর্যন্ত চারবার শিরোপাজয়ী ঊষা। সর্বশেষ দুবারই শিরোপার খুব কাছে গিয়ে উষার কাছে হারতে হয়েছিল আবাহনীকে। ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে দুবারের শিরোপাজয়ীদের তাই এ ফাইনালটি ছিল এক অর্থে প্রতিশোধের। তাতে একতরফা দাপটে ঊষাকে উড়িয়ে অসাধারণ প্রতিশোধ নিল মাহবুব হারুনের দল-চার আসর পর শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভিন্ন ইঙ্গিতই দিচ্ছিল। পাঁচ বিদেশী নিয়ে খেলতে নামা আবাহনীকে চেপে ধরেছিল ঊষার আক্রমণভাগ। ৭ মিনিটেই সাফল্যের মুখ দেখে ঊষা। ইসমাইল বিন আবুর থ্রুতে মালয়েশিয়ান রিক্রুট ফয়সাল বিন শারির কানেক্টে গোল আসে, আবাহনীকে এগিয়ে যায় ১-০ তে।
গোল খেয়েই যেন আহত বাঘের মত গর্জে ওঠে আবাহনী। একের পর এক আক্রমনে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ঊষার রক্ষণ। ৮ মিনিটে শাফাকাত রাসুলের জোরালো হিট গোল পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়। ১০ মিনিটের মাথায় পাওয়া প্রথম পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন কাসিফ আলী। পরের মিনিটে আবারো কর্নার, এবারও বল চলে যায় বাইরে।
তবে ১৫ মিনিটে পাওয়া কর্নারটি আর মিস করেনি আবাহনী। শাফকাত রসুলের ক্রস থেকে রুম্মান সরকার স্টপ এবং তাতে পাকিস্তানী রিক্রুট তৌসিফ এরশাদ দুর্দান্ত হিটে গোল করে আবাহনীকে ১-১ সমতায় ফেরান। এরপর আবাহনীর অনেকগুলো আক্রমন ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় গোলে পরিনত হতে পারেনি। ১৮ মিনিটে বিপ্লবের ক্রস থেকে ইরফানের জোরালো হিট ঠেকিয়ে দেন ঊষার গোলরক্ষক নিপ্পন। ২৫ মিনিটে কিপারকে কাটিয়েও গোল দিতে পারেননি ফাইজাল বিন শারি।
তবে ২৭ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। মাঝমাঠ থেকে রোম্মান সরকার প্রায় ২৫ গজ দূরে বল পাঠান মোঃ ইরফানের কাছে। বল পেয়েই দুজন মার্কারকে বোকা বানিয়ে জোরালো হিটে বল জালে জড়ান ইরফান। দলকে এগিয়ে নেন ২-১ গোলে। মাঝে সমতায় ফেরার একটা সুযোগ পেয়েছিল ঊষা, কিন্তু কৃষ্ণ ও মিমোর জুটি গোল করতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে শাকিল আনসারির কোনাকুনি হিট অল্পের জন্য গোলবার মিস করলে এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী।
বিরতির পর আবাহনী জেঁকে বসে ঊষার উপর। একের পর এক আক্রমনে ৪১ মিনিটে সাফল্য পায় তারা। শাফকাত রাসুলের ক্রসে শাকিল আনসারি ব্যবধান ৩-১ করেন। ৪৪ মিনিটে ঊষা পেনাল্টি কর্নার পেলেও গোলের দেখা আর পায়নি। বরং আবাহনীর মুহুর্মুহু আক্রমণে তাদের ডিফেন্স একেবারে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
তারই সুযোগ নিয়ে ৪৮ মিনিটে ব্যবধান ৪-১ করে আবাহনী। কাসিফ আলীর স্কুপে ফাঁকায় বল পেয়ে রিভার্স হিটে জালে জড়ান শাফাকাত রাসুল। ৫২ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ঊষার চোলান। তার হিট অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন আবাহনীর গোলকিপার অসীম গোপে।
কিন্তু ৫৬ মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি কর্নার মিস করেননি আবাহনীর তৌশিক এরশাদ। শাফকাত রসুলের ক্রস রুম্মনের স্টপে জালে জড়ায় তৌশিকের হিটে, আবাহনী এগিয়ে যায় ৫-১ ব্যবধানে।
শেষ ১০ মিনিটে ঊষা মরনপরন চেষ্টায় নামে। আবাহনীর ডিফেন্সে একের পর এক হামলা চালিয়েও পারফেক্ট ফিনিশিং না পাওয়ায় গোল পায়নি ঊষা। শেষপর্যন্ত ২০১০ সালের পর আবার ফাইনালে পরাজিত হয় ঊষা, ৫-১ গোলের বিশাল জয়ে শিরোপা ফিরে পায় আবাহনী লিমিটেড।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন আবাহনীর রুম্মান সরকার। ৭ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন আবাহনীরই মাকসুদ আলম হাবুল। ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতেছে সোনালী ব্যাংক এসসি।
For add
For add
For add
For add
for Add