for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৯ মে ২০১৬, সোমবার, ১২:৪৮:০৬
শেষ দুই ম্যাচ জিতলেই হলো-বার্সেলোনা এই সমীকরণ মথায় নিয়ে গতকাল (রবিবার)মাঠে নেমেছিল এস্পানিওলের বিপক্ষে। শেষ দুই ম্যাচের প্রথমটি দাপটের সঙ্গেই জিতেছে মেসি-নেইমাররা। ন্যু ক্যাম্পে এস্পানিওলকে ৫-০ গোলের বন্যায় ভাসিয়ে শিরোপার আরো কাছে পৌছে গেলো বার্সেলোনা।
কাতালান ডার্বিতে অনেক সময়ই হোঁচট খেয়ে বসে বার্সেলোনা। এ কারণে ন্যু ক্যাম্পের দর্শকরা কিছুটা শঙ্কাতেই ছিলো। যদিও সেটা শেষ পর্যন্ত আর থাকেনি। দুর্দান্ত এক জয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ২৪তম লা লিগা শিরোপা থেকে মাত্র এক কদম দুরে দাঁড়িয়ে এখন মেসি-নেইমারদের দল।
এই জয়ের ফলে লা লিগায় ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইল বার্সেলোনা। ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনেই রয়েছে রিয়াল। ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরু থেকেই শঙ্কা জাগাচ্ছিল এস্পানিওলের বিপক্ষে ২০০৬-০৭ মওসুমে রাউল তামুদোর শেষ মুহূর্তের গোলে বার্সার ২-২ গোলে ড্র করে ফেলার ইতিহাস। যে কারণে সেবার শিরোপাই আর জিততে পারেনি বার্সা। এবারও কী তবে সেই ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি? কিন্তু না, এবার আর এস্পানিওল পারেনি।
খেলার ৮ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন লিওনেল মেসি। প্রায় ২২ গজ দুর থেকে বাম পায়ে নেয়া ফ্রি কিকটি সোজা ডান কোন দিয়ে প্রবেশ করে এস্পানিওলের জালে। এর একটু পর আবারও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায় বার্সা। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে মেসি শট নিলে সেটা জটলার মধ্যে ইভান র্যাকিটিকের কাছে চলে যায়। আলতো টোকায় তিনি বল জড়িয়ে দেন এস্পানিওলের জালে। কিন্তু রেফারি বাঁশি বাজিয়ে দেন র্যাকিটিক অফসাইড ছিল বলে।
প্রথমার্ধে দু’দলের মধ্যে কিছু আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ হলেও কেউ আর গোলের দেখা পায়নি। যদিও মেসিকে ফেলে দেয়ার অপরাধে পেনাল্টির আবেদন করেও পায়নি বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ৭ মিনিট পর দ্বিতীয় গোলের দেখা মিললো বার্সার। এইবার গোলদাতা লুইস সুয়ারেজ। দানি আলভেসের কাছ থেকে বল পান মেসি। তিনি গোলের দারুণ সুযোগটা তৈরি করে দেন সুয়ারেজকে। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করলেন না এই উরুগুইয়ান।
দ্বিতীয় গোলের পর ৯ মিনিট পার হয়েছে মাত্র। আবারও গোলের দেখা পেয়ে গেলো বার্সা। গোলদাতা সেই সুয়ারেজ। এবার কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে দারুণ এক হেডে গোল করেন তিনি। কর্নার কিক নিয়েছিলেন নেইমার। এ নিয়ে মওসুমে মোট ৩৭টি গোল করলেন সুয়ারেজ। এস্পানিওলের মোট গোলের চেয়েও বেশি।
খেলার ৭৪ মিনিটে এস্পানিওল গোলরক্ষক পাও লোপেজের ক্ষমাহীন এক ভুলের কারণে গোলের দেখা পান রাফিনহা। এরপর খেলা শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগে বার্সার হয়ে পঞ্চম গোল করেন নেইমার।
For add
For add
For add
For add
for Add