for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪ মে ২০১৬, বুধবার, ১১:০৬:৩৭
রাত জেগে যারা বায়ার্ন মিউনিখ ও অ্যটলেটিকো মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি দেখেছেন তাদের চোখ স্বার্থক। আক্রমন-পাল্টা আক্রমন, গোল-পাল্টা গোল, পেনাল্টি-পাল্টা পেনাল্টি, সেভ পাল্টা সেভে দারুন জমেছিল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি৷ ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে জয়ের হাসি স্বাগতিকদের মুখে। তবে আসল হাসিটা ছিল স্প্যানিশদের। হারলেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ফাইনালে। জিতেও বিদায় জার্মান জায়ান্টদের। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্নকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে বায়ার্ন জিতেছে ২-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচের ফল ২-২। কিন্তু অ্যা্ওয়ে গোলে অ্যাটলেটিকোকে তুলে নিয়েছে ফাইনালে।
প্রথমার্ধে মুলারের পেনাল্টি শট বাঁচালেন অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক ওবলাক৷ দ্বিতীয়ার্ধে টোরেসের শট আটকে গেল ন্যুয়ারের হাতে৷ শেষ ৪৫ মিনিট যেন বদলে গেল মুহূর্তেই৷ প্রথমার্ধের এক তরফা বায়ার্নের ম্যাচ দ্বিতীয়ার্ধে পরিণত হল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে৷ সেই লড়াই শেষে বায়ার্নের ঘরে তাদের ছিটকে দিয়ে ফাইনালে আটলেটিকো মাদ্রিদ৷
৩১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ডেভিড আলাবাকে অ্যাটলেটিকোর আগুস্তো ফার্নান্দেজ ফাউল করে ফ্রি কিক পায় বাভারিয়ানরা। ফ্রি কিক থেকে গোল করে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন জাভি আলোন্সো। দুই লেগ মিলিয়ে খেলায় তখন ১-১ সমতা। নির্ধারিত সময়ের খেলা এমন অবস্থায় থাকলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। এতকিছু চিন্তার মাঝেই ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। জাভি মার্টিনেজকে অবৈধভাবে ফাউল করেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ডিফেন্ডার হোসে হেমিনেজ। রেফারি পেনাল্টি বাঁশি বাজালেও সেই পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নিতে পারেননি থমাস মুলার। ইয়ান অবলাকের অসাধারণ দক্ষতায় পেনাল্টি মিস করেন মুলার। প্রথমার্ধের বাকি সময়টুকু বল নিজেদের দখলে নিয়েও বলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেনি বায়ার্ন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে থাকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ৪৬ মিনিটে আগুস্তোর পরিবর্তে কারাস্কাকোকে নামান সিমিওনে। যার ফলও আসে কিছুক্ষণের মধ্যে। মাঝ মাঠের একটু সামনে থেকে ফার্নান্দো তোরেসের ডিফেন্স চেরা পাসে গোলকিপারকে একা পেয়ে যান ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার গ্রিজম্যান। কিন্তু `চীনের প্রাচীর` খ্যাত নুয়ারকে বোকা বানাতে সময় নেননি গ্রিজম্যান।
৫৪ মিনিটে গোল করে ম্যাচে ১-১ গোলে সমতা নিয়ে আসেন এই ফ্রেঞ্চম্যান। বায়ার্নকে তখন ফাইনালে যেতে হলে করতে হবে আরো দু গোল। হাতে সময় রয়েছে মাত্র ৩৬ মিনিট! ৬৭ মিনিটে জাভি আলোন্সোর আরো একটি দূরপাল্লার শট রুখে দেন অবলাক। তার ঠিক চার মিনিট পরেই লেভেন্ডোস্কির শট ঠেকিয়ে অ্যাটলেটিকোর ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখেন অবলাক।
৭৩ মিনিটে ডগলাস কস্তার পরিবর্তে কিন্সলে কোম্যান নামলেই ম্যাচের মোড় পাল্টে যেতে শুরু করে। ৭৪ মিনিটে আর্তুরো ভিদালের হেডে নিজের মাথায় ছুঁইয়ে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন লেভেন্ডোস্কি। কিন্তু তাতেও যে শেষ রক্ষা হয়নি বায়ার্নের। কেননা ফাইনালে যাওয়ার জন্য তাদের চাই আরো এক গোল। ৮৪ মিনিটে একটি বিক্ষিপ্ত আক্রমণ থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেন ফার্নান্দো তোরেস।
জাভি মার্টিনেজ ডিবক্সের বাইরে ফাউল করলেও রেফারি সেটা পেনাল্টি সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু তোরেসও পারলেন না পেনাল্টি থেকে গোল করতে। ম্যানুয়েল নুয়্যার রুখে দেন তোরেসের পেনাল্টি। শেষের দিকে আরো কয়েকটি আক্রমণ করলেও অবলাকের অসাধারণ দক্ষতায় সব আক্রমণই ব্যর্থ হয় বায়ার্নের। ফলে দিয়েগো সিমিওনের অধীনে দ্বিতীয়বারের মত ফাইনালে ওঠে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আজ (রাতে) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়াল জিতলে মিলানে দেখা যাবে অল স্প্যানিশ ফাইনাল।
For add
For add
For add
For add
for Add