for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩ মে ২০১৬, মঙ্গলবার, ২০:২৪:২৩
‘অপ্রাপ্তি ঘুচিয়ে বিদায়ের ক্ষণটিকে প্রাপ্তির রঙেই রাঙিয়ে দিতে চাই আমি।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ (মঙ্গলবার) রাতে মুখোমুখি হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। মাঠের এই যুদ্ধে নামার আগে মনে মনে এই মন্ত্রই কী জপছেন পেপ গার্দিওলা?
শিরোপা-সাফল্যের মাপকাটি গার্দিওলাকে বসিয়েছে বার্সেলোনার সর্বকালের সেরা কোচের আসনে। তিনটি লিগ, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাসহ ৪ বছরে বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন ১৪টি বড় শিরোপা। মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তা-পিকেদের নিয়ে গড়া বার্সেলোনার তারকাখচিত দলটির উপর ছিল কোচ গার্দিওলার অবিশ্বাস্য নিয়ন্ত্রণ। বায়ার্ন মিউনিখও তাই বড় আশা করে কোচ করেছিল তাকে। লক্ষ্য ছিল একটাই, ইউরোপে বায়ার্নের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা। কিন্তু বায়ার্নের সেই লক্ষ্য পূরণে গার্দিওলা এখন পর্যন্ত ব্যর্থই বলা যায়। ২০১২-২০১৩ মৌসুমে ইয়ুপ হেইঙ্কেসের হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতে বায়ার্ন। গার্দিওলার অধীনে সেই বায়ার্ন গত দুবারই বিদায় নিয়েছে সেমিফাইনাল থেকে। এবারও সেই সেমিতেই আটকে পড়ার শঙ্কা। প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে ১-০ গোলে হেরে এসেছে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। আশার কথা ফিরতি ম্যাচটি বায়ার্ন খেলবে ঘরের মাঠে। এই অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় কত অবিশ্বাস্য জয়ের স্মৃতি বায়ার্নের! আরেকটি স্মরণীয় জয়ের স্বাক্ষী কী হবে না?
স্বাভাবিকভাবেই বায়ার্নের প্রতিটি সমর্থক, খেলোয়াড়, কর্মকর্তরা জয় কামনা করছেন। গার্দিওলা তা চাইছেন আরও বেশি করে। কারণ মৌসুম শেষেই বায়ার্ন ছেড়ে তিনি দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটির। বিদায়ের আগে গার্দিওলা নিশ্চয়ভাবেই বায়ার্নকে কাঙ্খিত শিরোপাটা উপহার দিতে চাইবেন। শিরোপা অবশ্য পরের ব্যাপার। বায়ার্নের আপাত লক্ষ্য অ্যাটলেটিকো বাধা টপকে ফাইনালে পা রাখা। গার্দিওলা ভালো করেই জানেন কাজটা সহজ হবে না। সেমিফাইনালের মতো বড় ম্যাচ এমনিতেই স্নায়ুচাপ থাকে অনেক বেশি। বায়ার্নের চাপটা আরও বেশি প্রথম লেগে হেরে আসায়। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে অন্য রকম ঘটনাও গার্দিওলাকে চাপে রেখেছে। অ্যাটলেটিকোর মাঠে প্রথম লেগে স্ট্রাইকার টমাস মুলারকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন গার্দিওলা। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি।
মঙ্গলবার মাঠে নামার আগেও মুলার বিষয়ে গার্দিওলাকে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। গার্দিওলা অবশ্য কুটনৈতিক চালেই দিয়েছেন উত্তর, ‘মুলারের চেয়ে আমাদের কাছে সেমিফাইনালে জয়টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’যদিও গার্দিওলার ইঙ্গিতে পরিস্কার, মুলারের জায়গা হবে শুরুর একাদশেই। ফ্রাঙ্ক রিবেরিও খেলতে আগ্রহী। শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন কোচ যেভাবেই দল সাজান, অ্যাটলেটিকোর রক্ষণ দেওয়ালে ফাটল ধরাতে হলে প্রচুর ঘাম ঝরাতে হবে। কারণ রক্ষণই অ্যাটলেটিকোর মূল শক্তি। ১-০তে এগিয়ে থাকায় নিশ্চিতভাবেই রক্ষণভাগের প্রতি বেশি নজর দেবে স্পেনের দলটি। অনেক যুটবল বোদ্ধাই মনে করছেন, মূল লড়াইটা হবে দুই কোচ গার্দিওলা আর দিয়েগো সিমিওনের ট্যাকটিকসের। ট্যাকটিকসই ঠিক করে দেবে কে জিতবে?
সেটা কি বায়ার্ন নাকি অ্যাটলেটিকো?
For add
For add
For add
For add
for Add