for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার, ২২:০৩:৩২
বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল। আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এই ইশতেহার ঘষোণা করা হয়। ২৫ দফা সম্বলিত এই ইশতেহারে নানা প্রুতিশ্রুতির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য- পুনরায় শেরে বাংলা কাপ চালু, সিলেট একাডেমী পুনরায় চালু করা, জাতীয় দলের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো সহ জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন ভিত্তিক টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তৃণমূলে ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় কাজী সালাহউদ্দিন প্যানেলের সবাই উপস্থিত থাকলেও বাফুফের বর্তমান সভাপতি নিজে উপস্থিত ছিলেন না।
১. জাতীয় ফুটবল দলের সাফল্যের প্রয়োজনে দেশের সব ক্লাবকে আর্থিক ও কোচ দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬, ১৮ দলগঠন করতে সহায়তা করাসহ নিয়মিত টুর্নামেন্টের আয়োজন।
২. জাতীয় দলের পাইপলাইনে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় তৈরি করার জন্য সিলেটের বাফুফে ফুটবল একাডেমিকে বাফুফের সঙ্গে প্রাইভেট ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল একাডেমি গড়ে তোলা হবে। যার কার্যক্রম শুরু হবে এ বছরের জুন-জুলাইয়ে।
৩. বাফুফে ভবনে আন্তর্জাতিক মানের ফিটনেস সেন্টার গড়ে তোলা হবে, যা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
৪. প্রতিটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে একটি করে ফুটবল টার্ফ মাঠ ফিফার সহায়তায় স্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫. ফুটবলকে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সব জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনমতো আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। যাতে ডিএফএ গুলো প্রয়োজনমতো খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত লিগ পরিচালনা করতে পারে।
৬. এছাড়াও বাংলাদেশ সুপার লিগ (বিএসএল)-এর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা মোতাবেক সব ডিএফএকে প্রতিবছর ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে, যা দিয়ে প্রতিটি ডিএফএকে পর্যায়ক্রমে ফুটবল কোচিং সেন্টার গড়ে তোলার সহায়তা করা হবে।
৭. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সব বিভাগীয় শহরসহ সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ফুটবল একাডেমি গড়ে তোলা হবে। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃত দক্ষ ফুটবলার তৈরি করা হবে। যা বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
৮. এই সব ফুটবল একাডেমিগুলো পর্যায়ক্রমে ইউরোপ ও লাতিন আমিরকায় বিভিন্ন ফুটবল একাডেমির সঙ্গে টেকনিক্যাল টাইআপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯. সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে সারা দেশ থেকে একটি নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে ১০ হতে ১১ বছরের ১৫০ জন খেলোয়াড়কে ইউরোপ বা লাতিন আমেরিকার ফুটবল একাডেমিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে। যেখানে তারা লেখাপড়াসহ নিয়মিতভাবে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বেও যে কোনও ক্লাবে খেলার উপযোগী হয়ে গড়ে উঠবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে বাংলাদেশ ফুটবল পর্যায়ক্রমে বিশ্ব মানচিত্রে একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছাবে।
১০. জাতীয় দলের জন্য আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন কোচ, গোলরক্ষক কোচ, ফিটনেস ট্রেইনার, নিউট্রেশন এক্সপার্ট নিয়োগ দেওয়া হবে।
১১. জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ( শেরে বাংলা কাপ ), জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, সম্মিলিত সামরিক বাহিনীসমূহের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুনরায় চালু করা। সেই সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ ( সোহরাওয়ার্দী কাপ) পুনরায় চালু করা হবে, জাতীয় ও যুব দলের খেলোয়াড়রা নিজ নিজ জেলার পক্ষে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি রাখা হবে।
১২. নিয়মিতভাবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ/শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাবকাপসহ অন্যান্য টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে।
১৩. ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ (বিএসএল) নিয়মিতভাবে ৮টি বিভাগীয় শহরে দেশি-বিদেশি ( ইউরোপ-লাতিন আমেরিকা) ফুটবলারদরে সমন্বয়ে প্রতি বছর জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। যাহা বাংলাদেশের দর্শকদের মাঠমুখী করাসহ খেলোয়াড় তৈরিতে ব্যাপক সহায়তা করবে। এই খেলাগুলো বিভাগীয় স্টেডিয়ামে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ ( বিএসএল) অনুষ্ঠানের জন্য বিভাগীয় স্টেডিয়ামগুলোকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৫. আমাদের দেশে প্রকট মাঠ সমস্যা ( ঢাকা ও জেলায়) রয়েছে। সরকার, ডিএসএ ও ডিএফএ-এর সমন্বয়ে বাফুফের মনিটরিং কমিটির মাধ্যেমে প্রতিটি জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক লিগ খেলার ব্যাপারে সহায়তা করা হবে।
১৬. বাফুফের সকল স্ট্যান্ডিং কমিটি, টুর্নামেন্ট কমিটিতে জেলা ও বিভাগের প্রতিনিধিদের অর্ন্তভুক্ত করা হবে। জেলার ফুটবল লিগের জন্য আর্থিক সহায়তাসহ মনিটরিং সেল থাকবে।
১৭. প্রতিটি বিভাগে বাফুফের লাইসেন্সধারী কোচ নিয়োজিত হবে। পার্বত্য অঞ্চলে পুরুষ ও মহিলা ফুটবল দল খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই জন কোচ সার্বক্ষণিক নিয়োগ দেওয়া হবে।
১৮. প্রতি বছর বাফুফে থেকে এক লক্ষ সারা দেশে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সঠিকভাবে বিতরণ ও ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা এর জন্য একটি মনিটরি সেল থাকবে।
১৯. বাফুফে ভবনে সদস্য,ডেলিগেট,জেলা ও বিভাগীয় সংগঠকদের জন্য কক্ষ থাকবে।
২০. সকল জেলার ক্লাবগুলোর সমন্বয়ে ক্লাব কাপ পুনরায় চালু করা হবে।
২১. সকল উপজেলা পর্যায়ে অন্তত একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট( ইউনিয়ন ভিত্তিক ) আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অর্ন্তভূক্ত করা হবে।
২২. বাংলাদেশের কোচদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান কোচ আনা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
২৩. দেশের সকল রেফারিদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশি অভিজ্ঞ ইন্সট্রাকটর আনা হবে।
২৪.ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বছরে ৪/৫টি অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২৫. জাতীয় দল, প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও কোচদের জন্য সম্মানীর ব্যবস্থা করা হবে ও খেলোয়াড়দের জন্য পুনরায় বীমা ব্যবস্থা চালু করা হবে।
For add
For add
For add
For add
for Add