for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার, ২০:১৮:৪১
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সম্ভাবনাময় শুরুর পরেও নিজেকে প্রমানের খুব বেশি সুযোগ পাননি তিনি। এমনকি বিপিএলেও তাকে কেনেনি কোনদল। সব বঞ্চনার জবাব যেন প্রিমিয়ার লিগের শুরুতেই দিতে চাইলেন যুবায়ের হোসেন লিখন। ওয়ালটন প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে তার লেগস্পিন জাদুতে মাশরাফির কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে সাত উইকেটে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের নেতৃত্তাধীন ঢাকা আবাহনী। লিখন নিয়েছেন ৬ উইকেট।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি মাশরাফি বিন মর্তুজার কলাবাগানের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার সাদমান ইসলাম (০) ও ৩৭ রানে জসিমউদ্দিন (১৬) কে হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে হ্যামিলটন মাসাকাদজার ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছিল কলাবাগান। কিন্তু তাকে ব্যক্তিগত ৪১ এবং দলীয় ৭৮ রানে অসাধারন এক ফ্লিপারে বোল্ড করে মঞ্চে আবির্ভাব লিখনের। এরপর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম দেখেছে শুধুই লিখন শো। একে একে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে কলাবাগানের মেরুদন্ডটাই ভেঙ্গে দেন এই লেগী। যার তিনটাই ছিল বোল্ড। লিখনের দিনে সাকলাইন সজীব, তাসকিন আহমেদ, মোসাদ্দেক কিংবা আবুল হাসান-কারোর কপালেই একটার বেশি উইকেট জোটেনি। কলাবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে তাসামুলের ব্যাট থেকে। ৩৩.১ ওভারে কলাবাগান অলআউট হয় ১৪০ রানে।
১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই দলীয় ১১ রানে রানআউটের শিকার হন তামিম। লিটনও (১২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, নবম ওভারে দেওয়ান সাব্বিরের বলে মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ব্যক্তিগত ৩২ রানে অভিষেক মিত্রও ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে আবাহনী। সেখান থেকে হাল ধরে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কাউল ( ৫৬ বলে ৪৪ রান) ও নাজমুল হোসেন শান্ত( ৩৮ বলে ৩৫)। কলাবাগানের পক্ষে মাশরাফি ও আব্দুর রাজ্জাক উইকেটশুন্য ছিলেন। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ অনুমিতভাবেই নির্বাচিত হন ৬ উইকেট শিকারী আবাহনীর যুবায়ের হোসেন লিখন।
For add
For add
For add
For add
for Add