for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭ এপ্রিল ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ২২:১৮:৩১
অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি-কিক থেকে দর্শনীয় এক গোল করে মোহামেডান অধিনায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরা দৌঁড়ে এলেন ডাগ আউটে। কোচ জসীম উদ্দিন জোসীকে এমন ভাবে জড়িয়ে ধরলেন যে, গুরু শীষ্যের সেই মূহুর্তটা একেবারে বাঁধাই করে রাখার মত। জোসীও ছাড়ছিলেন না বাঙ্গুরাকে। তখক্ষণে বাকি খেলোয়াড়রাও জড়িয়ে ধরেছেন সাদা-কালো শিবিরের গুরুকে।
তা কি কেবল অন্তিম দিকে সময়ক্ষেপনের জন্য? আসলে তা নয়। ইসমাইল বাঙ্গুরার ওই গোলে যে জমাট বাঁধা একটা পাথর নেমে গেল মোহামেডানের বুক থেকে। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের ৭ মিনিটেই মাশুক মিয়া জনির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু এরপর যে কেবল গোল মিসের মহড়া। দলটি এমন সব গোল মিস করেছে যে শেষ মূহুর্তে দ্বিতীয় গোলটি না পেলে বড় ধরনের আফসোস নিয়েই ফিরতে হতো তাদের। প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকেও তো গোল করতে পারেনি তারা। ২২ মিনিটে ইসমাইল বাঙ্গুরার নেওয়া পেনাল্টি শট বাম দিকে ঝাপিয়ে রুখে দেন উত্তর বারিধারার গোলরক্ষক ইরশাদ।
টুর্নামেন্টের সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়নদের ২-০ গোলের এই জয়ের পরও কোচ জমীম উদ্দিন জোসীকে তার ফরোয়ার্ডদের নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে। শেখ জামালের বিপক্ষে হারের ম্যাচেও মোহামেডান ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং ছিল যাচ্ছে তাই। এ ম্যাচে যা আরও বড় হয়েছে। মধ্য মাঠ, এমন কি ডিফেন্স থেকেও বল নিয়ে প্রতিপক্ষের সীমানায় ঢুকছে সাদা-কালোরা। অথচ গোল মুখে এসেই গুলিয়ে গেছে সব। এমন হলে সামনের বড় পরীক্ষায় পার পাবে কি করে সেটি তো বড় প্রশ্নই।
তবে মোহামেডানের দুটি গোলই ছিল দেখার মত। ১০ মিনিটে মিডফিল্ডার মাশুক মিয়া জনি দুর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে জড়ান। আমিনুর রহমান সজিবের করা ক্রস বারিধারার এক ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে জনির পায়ে এলে জোরালো ভলিতে বল পোস্টে পাঠান তিনি। ইনজুরি টাইমে বক্সের ওপর থেকে নেয়া নীচু ফ্রি-কিকে গোল করে আগের ব্যর্থতা ঢাকেন বাঙ্গুরা। এই জয়ে দুই খেলায় মোহামেডানের পয়েন্ট এখন তিন। সমান খেলায় বারিধারার পয়েন্ট শূন্য। আগামী কাল (শুক্রবার) টুর্নামেন্টের কোন খেলা নেই।
For add
For add
For add
For add
for Add