for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭ এপ্রিল ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ২০:৫২:১৪
অ্যাটলেটিকো ডি কোলকাতা এবং চেন্নাই এএফসির হয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলার সময় গোল উদযাপনটাকে এক রকম ট্রেডকার্ম বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের দর্শকরা এতদিন যা টেলিভিশনেই দেখে এসেছেন। এবার দেখলেন মাঠে। শেখ রাসেল এবং বিজেএমসি ম্যাচ দেখতে যারা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিযামে এসেছিলেন তাদেরকে এক রকম ভাগ্যমানই বলা যায়। একে একে তিন বার ফিকরুর ডিগবাজি দেখলেন মাঠে আসা হাতে গোনা কিছু দর্শক। তার হ্যাটট্রিকেই বিজেএমসির বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র।
শুধু ট্রেডমার্ক উদযাপন দিয়েই নয়, ফিকরু সবাইকে মুগ্ধ করলেন নিজের গোল করার দক্ষতা দিয়েও। ঢাকার ফুটবলে গোল মুখে অনেক দিন ধরেই বিদেশীদের দাপট। যেখানে একেবারে ম্রিয়মান বাংলাদেশের স্টাইকাররা। তবে এবারের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি দামের খেলোয়াড় ফিকরু টেফেরা ঢাকায় খেলা অন্য বিদেশীদের সঙ্গে নিজের পার্থক্যটা বোঝালেন। দেশি-বিদেশী মিলিয়েই ঢাকার ফুটবলে স্টাইকারদের ফিনিশিংয়ের যে মান তাতে এই ইথিউপিয়ানকে আলাদা করেই মূল্যায়ন করতে হবে। সুযোগ সন্ধানি এই ফরোয়ার্ডের পায়ে বল মানেই মুগ্ধতা। আগের ম্যাচের তুলনায় সতীর্থদের কাছ থেকে ভালো সাপোর্ট পেয়েছেন। হ্যাটট্রিক করে তাদের যেন প্রতিদানও দিলেন এই ফরোয়ার্ড।
আরামবাগের বিপক্ষে শেখ রাসেলের প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছিলেন। যেটি ছিল ফিকরুর ঢাকার ফুটবলে অভিষেক ম্যাচ। সেই ম্যাচ শেষে ফিকরু বলেছিলেন,‘প্রতি ম্যাচেই গোল করতে চাই।’ তা ফিকরু শুধু গোলই নয় ঢাকায় নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হ্যাটট্রিক তুলে নিলেন। টুর্নামেন্টেও যা দ্বিতীয় হ্যাট্টিক। এক দিন আগেই প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছিলেন শেখ জামালের ওয়েডসন। ৪ টি করে গোল করে এই দুই জনই এখন গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে।
৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল উপহার দেন ফিকরু টেফেরা। তবে বিজেএমসি সমতায় ফিরে দ্রুতই। ৭ মিনিটে বিজেএমসি অধিনায়ক এলিটা কিংসলের পাস থেকে মেহেদী হাসান তপু গোল করেন। এরপর প্রথমার্ধ ১-১ গোলে অমিমাংশিত ভাবে শেষ হলেও ৫৪ মিনিটে শেখ রাসেলকে লিড এনে দেন ফিকরু। রুম্মন হোসেনের পাস থেকে ফিকরুর পায়ে এসেছিল বলটি। ৬০ মিনিটে এই রুম্মনই বা-প্রান্ত দিয়ে আক্রমনে গেলে তাকে ফেলে দেন বিজেএমসি ডিফেন্ডার বাইবেক। দ্বিতীয়বার হলুড কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচে তখন তীব্র উত্তেজনা। বিজেএমসি গোল কিপার আরিফুজ্জামান হিমেল রেফারিকে ধাক্কা দিয়ে বসেন। প্রায় মিনিট পাঁচেক খেলা বন্ধ ছিল তখন।
৭৬ মিনিটে হ্যাটট্টিক পুরণ করেন ফিকরু। রাজন মিয়ার ক্রস ডি বক্সের ভিতরে দাঁড়িয়ে প্রথমে নিয়ন্ত্রনে নিতে পারেননি ইথিওপিয়ান এই ফরোযার্ড। পরে ঠিকই নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে বল জালে পাঠান। ৮১ মিনিটে ফিকরুকে তুলে নেন মারুফুল। এর ঠিক এক মিনিট পরই স্যামসন ইলিয়াসু গোল করে বিজেএমসির হারের ব্যবধান কমান। এই জয়ে টানা দুই ম্যাচ জেতলো শেখ রাসেল, যা সেমির পথে তাদেরকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেল।
For add
For add
For add
For add
for Add