for Add
তোফায়েল আহমেদ : ৩ এপ্রিল ২০১৬, রবিবার, ১৬:৪৪:৫৭
সন্ধ্যায় ইডেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল রোমাঞ্চ। যে ম্যাচে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দু’দলই একবার করে জিতেছে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির শিরোপা। আজ (রবিবার) যে দলই জিতুক এই প্রথম কোন দল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলবে। শিরোপা নির্ধারণী সেই ম্যাচের আগে পেছনে ফিরে দেখা যাক আগের ফাইনালগুলো।
২০০৭ : ভারত-পাকিস্তান
ফাইনালে যেমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় থাকে সবাই, তেমনই এক ম্যাচ উপহার দিয়েছিল ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ। যেখানে শিরোপা লড়াইয়ে নেমেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ভারত-পাকিস্তান। শেষ ওভারে নিস্পত্তি হওয়া ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় ভরা। যে ম্যাচটি জয়ের দ্বার প্রান্তে গিয়েও হেরে যায় পাকিস্তান। ৫ রানের জয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলে ভারত।
প্রথমে ব্যাট করে ভারত করেছিল ১৫৭ রান। জবাব দিতে নেমে নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে শেষ ওভারে জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে ছিল পাকিস্তান। শেষ উইকেট জুটি, তারপরও মিসবাহ উল হক ছিলেন বলেই আশা দেখছিলেন পাকিস্তান সমর্থকরা। যোগিন্দর শর্মার প্রথম বল ওয়াইড হওয়ার পর দ্বিতীয় বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেন নি মিসবাহ। কিন্তু পরের বলে ছয় মেরে লক্ষ্য নামিয়ে এনেছিলে ৪ বল ৬-এ। কিন্তু পরের বল স্কুপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে শ্রীশান্তের হাতে ধরা পড়েন মিহবাহ। বিশ্বকাপটাও ওঠে মাহেন্দ্র সিংহদের হাতে।
২০০৯ : পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা
এবারও অল-এশিয়া ফাইনাল। আগের বারের রানার্সআপদের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলংকা। তবে এবার আর উত্তেজনার বারুদে ঠাসা কোন ম্যাচ নয়। একতরফা ফাইনালে জয় পায় পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৮ করতে পেরেছিল লঙ্কানরা। কুমার সাঙ্গাকারা করেছিলেন ৬৪ আর ম্যাথুজ অপরাজিত ৩৫। জবাবে মাত্র দুই উইকেটে হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। শহিদ আফ্রিদি করেন অপরাজিত ৫৪ রান। অল রাউন্ড নৈপুন্যের জন্য ম্যাচ সেরাও হয়েছিলেন তিনি।
২০১০ : ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
আগের দুইটি আসর অল এশিয়া হওয়ার পর প্রথম এশিয়ার কোন প্রতিনিধিত্ব ছিল না ফাইনালে। তবে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল বলে দর্শক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। কিন্তু মাঠে রোমাঞ্চর ম্যাচ উপহার দিতে পারেনি দল দুটি। বরং ইংল্যান্ড এক তরফা ভাবে জিতেছে ফাইনালটি।
প্রথমে ব্যাট করে শুরু থেকেই চাপে পড়া অসিরা শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছিল ৬ উইকেটে ১৪৭ রান। যা ইংলিশদের চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। দ্বিতীয় উইকেটে ১১১ রানের জুটি গড়ে কেভিন পিটারসেন এবং ক্রেগ কিসওয়েটার ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন। ইংল্যান্ড ৩ ওভার বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় পায়। যার মাধ্যমে ক্রিকেটের জনকরা প্রথম কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতে।
২০১২: ওয়েস্ট ইন্ডিজ-শ্রীলঙ্কা
নিজেদের মাটিতে বিশ্বকাপ বলে শ্রীলঙ্কাই ছিল শিরোপার বড় দাবিদার। কিন্তু প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের কাঁদিয়ে শিরোপা উৎসব করে ক্রিস গেইলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৭ করেছিল ক্যারিবীয়রা। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েও এই রান তোলা সম্ভব হয়েছিল কেবল মারলন স্যামুয়েলসের ৫৬ বলে ৭৮ রানের সুবাদে। জবাবে নিজেদের মাঠে এই রান সহজেই পেরিয়ে যাওয়ার কথা দিলশান-সাঙ্গাকারাদের। কিন্তু সেখানে চরমভাবে ব্যার্থ ছিলেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ১ উইকেটে ৪৮ থেকে ৬৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ম্যাচ এক রকম তখনই শেষ হেয়ে গিয়েছিল। ৮ বল বাকি থাকতে ১০১ রানে থামে লঙ্কান ইনিংস। ৩৬ রানে জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০১৪: শ্রীলঙ্কা-ভারত
দুই আসর পর আবার অল-এশিয়া ফাইনাল। এবার মিরপুরে দুই ফাইনালিষ্ট ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। এক দল প্রথম আসরের শিরোপা জয়ী আর আরেক দল দুই বার ফাইনালে ওঠেও শিরোপা ছুঁতে না পারা। সেই শিরোপা ছুঁতে না পারা দলটির হাতেই ওঠে সেবারের ট্রফি। একটু আলাদা করে বললে সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের হাতে। এই দুই কিংবদন্তি সেই ফাইনাল দিয়েই বিদায় জানান টি-টোয়েন্টিকে।
মিরপুরের একতরফা ফাইনালে ভারতকে ১৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্ব টি-টোয়েন্টি শিরোপার স্বাদ পায় শ্রীলঙ্কা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত করে মাত্র ১৩০ রান। যা বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ফাইনালের সর্বনিম্ন স্কোর। জবাবে ম্যাচসেরা কুমার সাঙ্গাকারার ৩৫ বলে অপরাজিত ৫২ রানে ভর করে ৬ উইকেটের সহজ জয় তলে নেয় লঙ্কানরা।
For add
For add
For add
For add
for Add