for Add
: ১৪ জুন ২০১৫, রবিবার, ২০:৪৮:৫১
msনিজস্ব প্রতিবেদক : ফতুল্লা টেস্ট পাঁচ দিনের চার দিনেই ছিলো মাঠে। না, পুরোটা সময় ধরে না। যদিও বৃষ্টির লুকোচুরিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার একমাত্র টেস্টটি গড়িয়েছে মাত্র ১৮৪.২ ওভার। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ছাড়া প্রতিদিনই কিছু না কিছুটা সময় মাঠে নেমেছিলো বাইশ গজের ব্যাট-বলের যুদ্ধ। বৃষ্টি-রোদের খেলায় যতটা না মেতেছিলেন দুই দলের ক্রিকেটাররা, তার চেয়ে কম পরিশ্রমী ছিলেন না মাঠ কর্মীরা।
বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে ফতুল্লা স্টেডিয়ামকে যে ভাবে চাদরে ঢেকে রাখার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিলেন মাঠ কর্মীরা, টেস্ট শেষে তার প্রশংসা না করে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ‘প্রবল বৃষ্টিতে ম্যাচ খেলাটাই ছিলো কঠিন। তবুও আমরা খেলেছি। এই কৃতিত্ব শুধুই মাঠকর্মীদের। তাদের অসাধারন পরিশ্রম আমাদের এমন বৃষ্টিতেও মাঠে নামার সুযোগ করে দিয়েছে। উইকেট নিয়ে যদিও বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম ঠিক এমনই উইকেট। যা দ্রুততার জন্য কিছুই না। এবং আমরা মনে ভাবিনি যে কেউ একজন ১৪৫ ওভারের চেয়েও বেশি বল করবেন। আমি মনে করি আমাদের বোলাররা ভালো করেছেন। প্রথম দুই দিন প্লাট উইকেট ছিলো। এমন উইকেটে বড় স্কোর করার চেষ্টা সবারই থাকবে। যেমনটি করেছেন শিখর ধাওয়ান ১৭৩, মুরালি বিজয় ১৫০ ও রাহানে ৯৮ রান। কিন্তু যখন অশ্বিন বল করছিলেন তখন ভালো বল হচ্ছিলো। যা প্রতিহত করাটা ছিলো কষ্টকর। তবে টেস্ট শেষে আমাদের সমানে আসছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। আমাদেও ওয়ানডে স্কোয়াডটাও কিছুটা ভালো হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। তারা অত্যন্ত শক্তিশালী। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। আশা করছি সেখান থেকেই আমরা মনোবল সঞ্চয় করেছি।’
অন্যদিকে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসাবেই দেখছেন,‘ ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ সত্যিকারেই একটি অভিজ্ঞ দল। এই ভার্সনের ক্রিকেটে তারা ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে যাচ্ছে। পাশাপাশি টেস্ট ম্যাচেও উপরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে বৃহৎ আসরগুলোতে তার প্রমান রেখেছে। এমন কি বিশ্বকাপেও। তাদেও পরিশ্রম এই সম্ভাবনা তৈরী করেছে। আমি চাই তারা ভলো করুক।’
বৃষ্টির কারনে ভারতীয় দল টেস্টে পুরো পাঁচদিন খেলতে না পারলেও যে কিছুটা সময় তারা ব্যাটিং এবং বোলিং করার সুযোগ পেয়েছে তাতেই খুশি ভারতীয় অধিনায়ক,‘ আমি সত্যি ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো সময় পেয়েছি। যেখানে শিখর ধাওয়ান, বিজয় ও রাহানে ভালো করেছেন। যা ছিলো নি:শ্বার্থ পারফরম্যান্স, দ্রুত রান করা। আমরা জানি বৃষ্টির কারনে আমরা খুব একটা বেশি সময় পাবো না। এটা দু’দলের জন্যই ছিলো হতাশাদায়ক। আমরা চেয়েছিলা পুরোপুরি পাঁচদিন। এরপরেও যে কতক্ষনই খেলা হয়েছিলো আমরা ভালো চেষ্টা করেছি। অশ্বিন এবং হারভাজন সিং দু’জনেই কৃতিত্বপূর্ন বোলিং করেছেন। দু’জনই যোগ্যতা সম্পন্ন স্পিনার। সেই প্রমান তারা দেখিয়েছেন, ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে রেখেছেন।’
For add
For add
For add
For add
for Add