for Add
: ৫ মে ২০১৫, মঙ্গলবার, ২০:৩৮:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: জিতলেই সিরিজ। অনেকটা অঘোষিত ফাইনাল। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে ফাইনাল শব্দটি নেই। কিন্তু দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ড্র হওয়ায় সমীকরণটা ফাইনালেই রুপ নিয়েছে। ফলের দেখা পেতে পাঁচদিনের অপেক্ষা। ভাগ্য অনুকুলে আনতে ক্রিকেটারদের লড়তে হবে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান যে দলই জিতবে তাদের ঘরেই উঠবে সিরিজ জয়ের ট্রফি। বাংলাদেশ জিতলে হবে সোনায় সোহাগা। এর আগে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজ জিতেছেন টাইগাররা। টেস্ট জিতলে পূরণ হবে পূর্নাঙ্গ সিরিজ জয়ের ষোলকলা। মিরপুর স্টেডিয়ামে সকাল দশটায় শুরু হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার শেষ এই টেস্ট।
এমন একটি সুযোগের সামনে দাড়িয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কেন, গোটা দেশের প্রত্যাশা- টেস্ট সিরিজ জয়টাও হোক বাংলাদেশের। খুলনা টেস্টে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে যেভাবে পাকিস্তানের বিশাল সংগ্রহের মোকাবেলা করেছে তাতে টাইগারদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। রেকর্ডময় খুলনা টেস্টের প্রাপ্তিগুলো নিয়ে মাঠে নামবেন মুশফিক বাহিনী।
ম্যাচ শুরুর আগে তেমনি হঙ্কার দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক,‘অবশ্যই লক্ষ্য জয়। যেহেতু ম্যাচটি রূপ নিয়েছে ফাইনালে, তাই এই ম্যাচে ভাল করার জন্য যা যা করা দরকার তা যেন করতে পারি সেই চেষ্টাই থাকবে। সবাই কষ্ট করেছে, চেষ্টা থাকবে যেন পাঁচদিন ভালো ক্রিকেট খেলে ফলটা আমাদের দিকে আনতে পারি।’ বাংলাদেশ অধিনায়ক আরো বলেন,‘সিরিজটা জিতলে কেবল অনন্য অর্জনই হবে না, ভবিষ্যতের সিরিজগুলোতেও প্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। প্রত্যেকটা ম্যাচ আমরা ভালো খেলেছি।’
কিন্তু মিরপুরের উইকেট কখনোই বাংলাদেশ দলের জন্য পয়মন্ত হয়ে উঠেনি। ১২ টেস্টের ১০টিতে ফল আসলেও বাংলাদেশের জন্য ছিলো না সুখকর। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট ড্র ছাড়া বাকি সব গুলো ম্যাচের ফল ছিলো প্রতিকুলে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মেনে নিলেন সব কিছু। খুলনার উইকেটের সঙ্গে মিরপুরের উইকেটের প্রার্থক্যের একটি ব্যাখ্যা টেনে তুলেছেন,‘এই উইকেট বোলার ও ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক থাকে। যে কোনো দলের স্পিনাররা এখান থেকে সুবিধা আদায় করতে পারে। খুলনায় আমরা ভালো খেলেছি; কিন্তু এখানে আমাদের খেলটা খুব চ্যালেঞ্জিং হবে। ওরাও আমাদের ২০ উইকেট তুলে নেয়ার জন্য সব রকম পদক্ষেপ নেবে। তারা চেষ্টা করবে, যেভাবেই হোক ফল যেন তাদের পক্ষে যায়। আমরাও চেষ্টা করব, আগের ম্যাচের ফর্ম যেন শেষ ম্যাচেও ধরে রাখতে পারি।’
তবে খুলনা টেস্টের ন্যায় সেরা একাদশ গঠনে শুধুই ব্যাটিং নির্ভর নয়, বোলিংয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া হবে। মুশফিক যেন সেই ইঙ্গিতটাই দিয়েছেন,‘যদি মনে করি, আমাদের এ উইকেটে একজন অতিরিক্ত বোলার লাগবে, হোক একজন সিমার বা স্পিনার; আমরা তা নেব। আমাদের লক্ষ্য থাকবে তাদের ২০ উইকেট দখল করা।’
বাংলাদেশ দলে এই মূহুর্তে তামিম দূর্দান্ত খেললেও মুশফিক তাকিয়ে আছেন সাকিবের দিকে। তার বিশ্বাস সাকিবের অলরাউন্ড রুপটি সঠিক ভাবে জেগে উঠলে ম্যাচ বাংলাদেশের অনুকুলেই থাকবে। কিন্তু বল হাতে সাকিব এখনো পর্যন্ত নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেন নি। এখানেই মুশফিকের যত ভাবনা। এরপরেও সাকিবের প্রতি তার আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। এই টেস্টে ঠিকই তিনি জেগে উঠবেন। কারন মিরপুরের উইকেটে সাকিবের সাফল্যের রেকর্ডটা ভালো।
অন্যদিকে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ দলকে আটকানোর নানা ছক আকছেন মিসবাহ বাহিনী। খুলনা টেস্টে ছক একেও কোন কাজে আসেনি। কারন তামিম সব কিছুকেই টপকে গেছেন। মিসবাহ সেই কথাগুলো শুনিয়ে বলেন, ‘ওর জন্য নতুন করে ছক আঁকার কথা ভাবছি। কিন্তু ও নতুন ছকেও ভালো করছে। দেখা যাক এখন কি করা যায়।’পাকিস্তান অধিনায়ক এই মূহুর্তেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন ভালো ক্রিকেট খেলছে। তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদেরকে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ব্যর্থতার খোলস থেকে বেরিয়ে আসা। এর জন্য নিজেদের কঠোর পরিশ্রম করা প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ (সম্ভাব্য) একাদশ : তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম(অধি.), সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, শুভাগত হোম চৌধুরী/জুবায়ের হোসেন, তাইজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ শহিদ।
পাকিস্তান (সম্ভাব্য) একাদশ : সামি আসলাম, মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলি, ইউনিস খান, মিসবাহ উল হক(অধি.), আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদ, ওহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, ইয়াসির শাহ, জুলফিকার বাবর।
For add
For add
For add
For add
for Add