for Add
: ১৬ মার্চ ২০১৫, সোমবার, ২১:৪৬:৪১
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০৭ বিশ্বকাপের আগে ভারতের বিপক্ষে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাংলাদেশ। পোর্ট অব স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে হাবিবুল বাশার সুমনরা বিশ্বকাপে খেলতে নামা নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে। দিনটা ছিল ১৬ই মার্চ। কিন্তু হঠাৎই বাজ পড়ার মত খবরটা শুনলা টিম বাংলাদেশ। হাবিবুল বাশারদের সতীর্থ মানজারুল রানা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন।
ফুরফুরে মেজাজ হঠাৎই উধাও। মাশরাফিসহ অনেকেই ভেঙে পড়েছিলেন খবরটি শুনে। সবার মাঝেই ভর করে বিষাদের কালো মেঘ। পরেরদিন ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। অথচ, খবরটা শোনার পর কারও ঠিক থাকতে পারার কথা নয়।
কিন্তু, কী অদ্ভুত! সতীর্থ হারানোর শোককে কিভাবে যেন প্রচণ্ড শক্তিতে পরিণত করলো হাবিবুল বাশার অ্যান্ড কোং। পরের দিন কুইন্স পার্ক ওভালে হারিয়ে দিল প্রবল পারক্রমশালি ভারতকে! মানজারুল রানার স্মৃতির উদ্দেশ্যে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচটি উৎসর্গ করা হলো সেদিন। মাশরাফিসহ অনেক ক্রিকেটারই তখন বলেছিলেন, জয়টা মানজার রানার জন্যই এলো।
২০০৭ সালের ১৬ মার্চ একটি ক্রিকেট ম্যাচ খেলে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরে আসার পথে কার্তিকডাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে দুর্ঘটনায় পড়েন মানজারুল রানা। যে ঘটনায় শেষ পর্যন্ত প্রান হারাতে হয় তাকে। সে থেকে এ নিয়ে ১৬ মার্চ আটবার এলো, অথ্যাৎ আটটি মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়ে গেলো মানজারুল রানার। প্রায় প্রতিবারই মাশরাফিরা মানজারুল রানার স্মৃতি স্মরণ করেন।
এবার তারা বিদেশ বিভুঁইয়ে, সেই অস্ট্রেলিয়া। আবারও মানজারুল রানার স্মৃতি, সামনে আবারও ভারত। রানার মৃত্যুবার্ষিকীতে নিশ্চয় মন খারাপ হচ্ছে মাশরাফির! আর এই স্মৃতিকে পুঁজি করেই হয়তো আরও একটি ভারত বধের চক কষছে টিম বাংলাদেশ।
১৯৮৪ সালের ৪ মে খুলনায় জন্ম নেন মানজারুল রানা। ২০০৩ সালে ওয়ানডে ও ২০০৪ সালে টেস্ট অভিষেক হয় এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের। খেলেন ৬টি টেস্ট ও ২৫টি ওয়ানডে।
For add
For add
For add
For add
for Add