for Add
: ৭ মার্চ ২০১৫, শনিবার, ১২:২৪:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক: দু’দফা বৃষ্টি। অকল্যান্ডে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৩ ওভার করে কাটা হলো দু’দলের কাছ থেকেই। নির্ধারিত ৪৭ ওভারের পুরোটাও খেলতে পারলো না পাকিস্তান। ৩ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে গেল ২২২ রানে।
বরাবরের মতই অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। আউট হন ৫৬ রান করে। এছাড়া ওপেনার সরফরাজ আহমেদ করেন ৪৯ বলে ৪৯ রান।
মূলতঃ অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে দু’দফা বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও আর ঠিকভাবে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। প্রোটিয়া বোলার ডেল স্টেইন ৩০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন কাইল অ্যাবট আর মরনে মর্কেল। ১টি নেন ইমরান তাহির।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটির ভাগ্য গড়ালো কার্টেল ওভারে। দু’দলের জন্যই নির্ধরাণ করা হলো ৪৭ ওভার করে। দু’জন মাত্র বোলার ১০ ওভার করে বল করতে পারবে। বাকিরা করবেন ৯ ওভার করে বল। আর মধ্যাহ্ন বিরতি দেওয়া হবে মাত্র ১০ মিনিটের।
তার আগে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করেছে পাকিস্তান। অন্য যে কোন ম্যাচের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ পাকিস্তানকে মনে হচ্ছে বেশ গোছালো এবং আত্মবিশ্বাসী একটি দল। ওপেনার নাসির জামসেদের পরিবর্তে নেওয়া হয় সরফরাজ আহমেদকে। ফিট না হওয়ায় হারিস সোহেলকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয় ইউনিস খানকে।
আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে পাকিস্তানের ইনিংস ওপেন করতে নামেন সরফরাজ আহমেদ। দু’জনের আত্মবিশ্বাসী শুরট দেখেই মনে হচ্ছিল আজ দিনটা পাকিস্তানেরও হতে পারে। তবে নবম ওভারে কাইল অ্যাবটের বলে ডেল স্টেইনের অসাধারণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরে যান ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।
ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামেন ইউনিস খান। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যার্থতার কারনে দল থেকে বাদ পড়ার পর পুনরায় দলে ফেরার পর ইউনিসকেও মনে হচ্ছে বেশ আত্মবিশ্বাসী একজন ব্যাটসম্যান।
তবে তাকে এক পাশে রেখে অপর পাশে বেশ মারমুখী ভুমিকায় অবতীর্ণ হন সরফরাজ আহমেদ। ডুমিনিকে এক ওভারে পর পর দুবার ছক্কাসহ তিনবার ওভার বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানের রানের চাকা অসাধারণভাবে বাড়িয়ে তোলেন।
কিন্তু সুখের সময় বেশিক্ষণ টেনে না মনে হয়। এ কারণেই ১৭তম ওভারে এসে ফিল্ডারের হাতে বল রেখে দ্বিতীয় রান নিতে যান সরফরাজ। কিন্তু ডেভিড মিলার আর কুইন্টন ডি ককের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত রান আউট হয়েই ফিরে যান তিনি। ততক্ষণে তার নামের পাশে ৪৯ বলে ৪৯ রান। ৫টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস।
দলীয় ১৩২ রানে ফিরে যান ইউনিস খানও। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে খেলেন ৩৭ রানের এক ইনিংস। অকেশনাল বোলার ডি ভিলিয়ার্সের একটি ইনসুইঙ্গার রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শট কভার অঞ্চলে। ক্যাচ ধরেন রিলে রুশো।
৩২তম ওভারের শেষ বলে আউট হন শোয়েব মাকসুদ কাইল অ্যাবটের বলে তিনি ক্যাচ তুলে দেন পয়েন্ট দাঁড়ানো রিলে রুশোর হাতে। ১৬ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি।
৩৭তম ওভারের শেষ বলে মর্কেলের বলে মিডউইকেটে খেলেন উমর আকমল। তার জোরে মারা শটটি অসাধারণ দক্ষতায় তালুবন্দী করে নেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
For add
For add
For add
For add
for Add