for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৮:২২:৩১
নয়বার বিশ্বকাপ খেলে একবার চ্যাম্পিয়ন, পাঁচবার অলিম্পিকে অংশ নিয়ে একবার ফাইনাল খেলা এবং সতেরবার এশিয়ান গেমস খেলে দুইবার স্বর্ণজেতা জাপান নারী ফুটবল দলের বিপক্ষে চাইলেই ম্যাচ খেলার সুযোগ আসতো না বাংলাদেশের। যে সুযোগটা করে দিয়েছে হাংজু এশিয়ান গেমস।
বিশ্বের ৮ ও এশিয়ার শীর্ষ দলটি এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপে। এই প্রথম এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এশিয়াডে প্রথম অংশগ্রহণেই গ্রুপে পেয়েছে জাপানের মতো দল, যারা গেমসের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আরো পেয়েছে সর্বশেষ বিশ্বকাপ খেলা ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ এশিয়ার দল নেপালকে।
বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য পরিষ্কার। গ্রুপের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে তিনরকম লক্ষ্য নিয়ে। এক. প্রথম ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে যতটা ভালো খেলা যায়, দুই. দ্বিতীয় ম্যাচে ভিয়েতনামকে আটকানোর চেষ্টা এবং তিন. শেষ ম্যাচে নেপালকে হারানো।
জাপানের ম্যাচটা ভুলে গিয়ে যদি বাকি দুই ম্যাচে ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলা যায় এবং নেপালকে হারানো যায় তাহলেই এশিয়ান গেমসে অভিষেকটা রঙিন হবে সাবিনাদের। যদিও বাস্তবতা ভিন্ন।
জাতীয় নারী ফুটবল দল চীনের পথে উড়াল দেবে আগামীকাল (সোমবার) মধ্যরাতে। দল যাওয়ার আগে রোববার বিকেলে বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেই বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ।
তিনি উল্লেখ করলেন, দলগুলোর ফিফা র্যাংকিংয়ের কথা। র্যাংকিংয়ে চোখ রাখলেই বোঝা যায় কতটা এগিয়ে অন্য দলগুলো। সর্বশেষ ফিফা র্যাংকিয়ে জাপান ৮, ভিয়েতনাম ৩৪, নেপাল ১০১ ও বাংলাদেশ ১৪২।
র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে নেপাল এগিয়ে আছে ৪১ ধাপ। তারপরও হিমালয়ের দেশটি বাংলাদেশের কাছে অজেয় নয়। ঠিক এক বছর আগে এই নেপালকে প্রথমবার হারিয়ে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে সেই দেশটির বিপক্ষে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ এই ম্যাচটিকে পাখির চোখ করেই চীন যাচ্ছে।
সর্বশেষ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া জাপান ও ভিয়েতনামকে সমীহ করার কথা বললেন সাবিনাদের নতুন কোচ সাইফুল বারী টিুট। ‘জাপান ও ভিয়েতনাম অন্য লেভেলের দল। বিশেষ করে জাপান। সর্বশেষ বিশ্বকাপে তারা গ্রুপপর্বে ৪-০ গোলে হারিয়েছে স্পেনকে। যে স্পেন শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আবার ভিয়েতনাম গ্রুপ থেকে বাদ পড়লেও তারা যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডসের মতো দলগুলোর বিপক্ষে খেলেছে। ভিয়েতনামও অনেক শক্ত দল। তাই জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলাটা দারুণ অভিজ্ঞতা হবে আমাদের মেয়েদের। এই দুই ম্যাচে আমাদের হারানোর কিছু নেই। তবে আমরা নেপালকে হারানোর চেষ্টা করবো এবং আশা করছি সেটা পারবো’-বলছিলেন সাইফুল বারী টিটু।
নেপালের বিপক্ষে ‘জিততেই হবে’ কৌশল নিয়ে খেলার কথাই বলেছেন সাইফুল বারী টিটু, ‘নেপালের বিপক্ষে জেতার মানসিকতা নিয়েই খেলতে হবে। ওদের বিরুদ্ধে আমরা একটি ম্যাচ জিতেছি গত সাফের ফাইনালে। ঢাকায় এসে নেপাল দুই ম্যাচ ড্র করেছে। আমরা জাপান ও ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলবো এক ধরনের মানসিকতা নিয়ে, নেপালের বিপক্ষে থাকবে তার উল্টো। এক কথায় আগ্রাসি মনোভাব নিয়েই আমাদের নেপালের বিপক্ষে খেলতে হবে।’
দেশের নারী ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন জাপানের মতো দলের বিপক্ষে খেলতে পারার সুযোগটাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। ফল কি হবে তা না ভেবে তারা জাপানের বিপক্ষে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন।
এককথায় জাপানের বিপক্ষে খেলবেন বলে সাবিনারা রীতিমত রোমাঞ্চিত। সাবিনা বলেন, ‘জাপান আমার প্রিয় দল। সর্বশেষ বিশ্বকাপে আমি জাপানকে সমর্থন করেছিলাম। সেই দলের বিপক্ষে আমরা খেলবো। আসলে এই ম্যাচটি নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’
সাফের পর বাংলাদেশ দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে নেপালের বিপক্ষে জুলাইয়ে। দীর্ঘ ১০ মাস পর মাঠে নেমে হতাশ করেনি সাবিনারা। দুই ম্যাচ ড্র হয়েছিল। যদিও টাইব্রেকারে সিরিজের জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা হয়েছিল। নেপাল সিরিজ জিতে ঘরে ফেরে।
সাবিনা খাতুন ওই দুই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ‘ওই ম্যাচ দুটিতে আমাদের ফিটনেস লেভেল যে পর্যায়ে ছিল, তার চেয়ে এখন অনেক ভালো। নেপাল চাইবে চীনে আমাদের হারাতে। আমরাও তাদের হারানোর জন্য যাবো।’ -জাগোনিউজ
For add
For add
For add
For add
for Add